ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ছবি : সংগৃহীত

পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের এ দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেখানে ‘শান্তি’ বজায় রাখার জন্য সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া এমন ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। তারা বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাটি ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার অপ্রীতিকর লঙ্ঘন’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের জন্য ইউক্রেনের আহ্বানকে সমর্থন করছে তারা।

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

রাশিয়া কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের সীমান্তের চারপাশে তার সামরিক বাহিনীর সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যে কোনো সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। যদিও মস্কো দাবি করে আসছে যে এটি করার কোন পরিকল্পনা নেই তাদের।

তবে স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের ফোনকলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পরে ডিক্রিতে সই করে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন।

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদিরা লড়াই চালিয়ে আসছে। গত ৬ বছরে কিয়েভ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে অঞ্চল দুটিতে।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

এসএনআর/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।