উত্তেজনা না বাড়ানোর হুঁশিয়ারি পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় ১০ লাখের বেশি নাগরিক ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে। ধ্বংস করা হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। তবে এ ঘটনার পর মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পশ্চিমা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উত্তেজনা বাড়ানো উচিত নয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুতিন বলেন, যারা ইউক্রেনে রুশ অভিযানের বিরোধিতা করছে, তারা যেন মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটায়। এক সরকারি সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা বলেন। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা রসিয়া টিভি ২৪ চ্যানেলে এই ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের প্রতি আমাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। সম্পর্কের অবনতি ঘটে এমন কোনো পদক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলো নেবে না বলে তার সরকার মনে করে। সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সেটাই সবার চিন্তা করা উচিত বলেও জানান পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্য এমন সময় এলো যখন রাশিয়ার ওপর কীভাবে চাপ বাড়ানো যায় তার পথ খুঁজে বের করার জন্য পশ্চিমা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে এক বৈঠক শুরু করেছেন।

এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। চলমান যুদ্ধে দুই পক্ষ থেকেই নিয়মিত তথ্য জানানো হচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় নয় হাজার সেনা হতাহত হয়েছে।

যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার, ২১৭টি ট্যাঙ্ক, ৩০টি যুদ্ধবিমান, ৮৪৬টির বেশি সাঁজোয়া যান ও ৩১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা।

তবে রাশিয়া প্রথমবারের মতো বুধবার জানায় যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৫৯৭ সেনা। স্থানীয় সময় ২ মার্চ রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইউক্রেনের সেনাসহ দুই হাজার ৮৭০ জন নিহত হয়েছেন।

এমএসএম/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।