রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে পৌছানোর পর অশ্রুসিক্ত এক ইউক্রেনীয় নারী, ছবি: এপি, ২৭ ফেব্রুয়ারি।

অডিও শুনুন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাত মিলিয়ন অর্থাৎ ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেন থেকে পার্শবর্তী দেশে শরণার্থীর ঢল নামায় বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইইউর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার জেনেজ লেনারসিক। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে ইউরোপ মহাদেশে, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট কি হতে পারে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সাত মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

পরে ইউরোপীয় কমিশনের এক কর্মকর্তা বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, জাতিসংঘের তথ্য এবং রাশিয়ার আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে এমনটি ঘটতে পারে।

লেনারসিক বলেছেন যে, জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধ চলতে থাকলে, প্রায় ১৮ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় মানবিক সংকটে পড়বে তা ইউক্রেনেই হোক বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে হোক। জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে দুই লাখের বেশি নাগরিক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানায়।

সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

সূত্র: ফ্রান্স২৪.কম

এসএনআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।