প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

উত্তরার প্রত্যেক হাসপাতালে রোগী, গুরুতরদের আনা হচ্ছে জাতীয় বার্নে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেখানকার প্রতিটি হাসপাতালে এখন দগ্ধ রোগীতে ভরে গেছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্নে পাঠানো হচ্ছে।

প্রান্ত বলেন, আমার ভাবি নওরিন মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক। দুর্ঘটনার সময় কলেজ ভবনের ভেতরেই ছিলেন। আগুনে দগ্ধ হন তিনিও। আমরা প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিই, পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু আমার ভাবি নয়, কলেজের আশপাশে থাকা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পথচারী—অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। শিশুরা মাঠে খেলছিল, তারাও আগুনের গ্রাসে পড়ে।

উত্তরার প্রত্যেক হাসপাতালে রোগী, গুরুতরদের আনা হচ্ছে জাতীয় বার্নে

স্থানীয় হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। প্রতিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দগ্ধ রোগীতে উপচে পড়ছে। উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেককেই এখানে রাখা যাচ্ছে না, সোজা পাঠানো হচ্ছে বার্ন ইউনিটে।

এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ভবন, যানবাহন ও জনসাধারণের মধ্যে।

ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে দুই প্লাটুন বিজিবি। এরই মধ্যে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ইএআর/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।