ক্যান্টিনে খাবারের জন্য অপেক্ষা করায় বেঁচে যায় জাহারা
ছোট বোন আলবীরার ক্লাস প্রায় শেষ। ছুটি হলেই দুই বোন একসঙ্গে খাবে বলে স্কুলের ক্যান্টিনে অপেক্ষা করছিল বড় বোন জাহারা। মুহূর্তেই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আলবীরা। এতে ছোট বোন আলবীরা পুড়লেও খাবারের জন্য অপেক্ষা করায় বেঁচে যায় জাহারা। না হলে হয়ত জাহারাকেও পুড়তে হতো।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজার থেকে দেখতে আসা তাদের জেঠাতো বোনের জামাই আব্দুল মাজেদ।
আলবীরার অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। আজ আবারও ড্রেসিং করানো হচ্ছে বলেও জানান আব্দুল মাজেদ। তিনি আরও বলেন, আলবীরারা তিন ভাই ও দুই বোন। দুই বোনের মধ্যে আলবীরা ছোট। তারা দুই ভাই ও দুই বোন সবাই মাইলসস্টোনে পড়ে। দুর্ঘটনার দিন মাসহ দুই ভাই কক্সবাজার থাকায় সেদিন তারা দুই বোন স্কুলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে আলবীরার মা ও দুই ভাই কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরেন। তার কিছুক্ষণ পরেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে রুবাইদা নূর আলবীরা (১০)। সেদিনের বিমান দুর্ঘটনায় তখন আলবীরা বুদ্ধি করে সিনিয়র ভাইকে বলেছিল ভাইয়া আমাকে একটু ধরো। তখন সে আলবীরাকে নিয়ে বের হয়ে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে কোথাও চিকিৎসা না পেয়ে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। পরে পিতা-মাতা ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করেন।
এমডিএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম