মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

সেই রাইসার খোঁজ মিলেছে, তবে সে আর বেঁচে নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি (১১)। তার খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সে আর বেঁচে নেই। হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবরের পর ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে তার মরদেহের সন্ধান মিলেছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত রাইসা মনির চাচা ইমদাদুল শেখ। এর আগে বিকেলে ঢাকা সিএমএইস হাসপাতালে নিহত রাইসার মরদের শনাক্ত করেন তার বাবা শাহাবুল শেখ।

রাইসা মনি ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের শাহাবুল শেখের মেয়ে। শাহাবুল শেখ ঢাকার মিরপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী।

রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাইসা মনির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সে আর পৃথিবীতে জীবিত নেই। তার বাবা নিজে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।’

তিনি আরও জানান, রাইসা মনি ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় বোন ও ছোট একটি ভাই রয়েছে। রাইসার মরদেহ খুঁজে পেয়ে তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

চাচা ইমদাদুল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাইসা মনি আর বেঁচে নেই। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পেটের ওপর থেকে মাথা পর্যন্ত বেশি পুড়েছে। তবে তার মুখমণ্ডল দেখে তার বাবা মেয়ে রাইসা মনিকে শনাক্ত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনএ নমুনা টেস্ট দেওয়ার জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের নমুনা রেখে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে আজই গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। এখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে।’

সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ।

আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা দুপুর পর্যন্ত ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ১৬৫ জন।

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।