তৃতীয় টি-টোয়েন্টি

টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে বিমান দুর্ঘটনা ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তান তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টিকিট বিক্রির অর্থ মানবিক কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শেষ ম্যাচের টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ দান করা হবে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা করেছে যে, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আজকের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিটের আয় সাম্প্রতিক জাতীয় বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক প্রচেষ্টায় প্রদান করা হবে।’

সংহতি ও স্মৃতিচারণের নিদর্শন হিসেবে, বিসিবি সম্পূর্ণ অর্থ দুটি উদ্দেশ্যে ব্যয় করবে। এক, ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে, যা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তা করে থাকে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ক্রিকেট বাংলাদেশে খেলার চেয়েও বেশি কিছু। এই শোক ও স্মৃতিচারণার সময়ে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডিতে যারা গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের আরোগ্য প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্রভাবে হলেও অবদান রাখতে পেরে বিসিবি নিজেকে গর্বিত মনে করছে। নিহতদের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইলো।’

‘বিমান দুর্ঘটনা ও ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।’ আজকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচে উপস্থিত ভক্তদের তাদের সমর্থন এবং উদারতার জন্য বিসিবি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের প্রাথমিক সেকশনের বিল্ডিংয়ে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। যে ঘটনায় বহু কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে অনেকে। অনেক অভিভাবক ও শিক্ষকও নিহত-আহত হয়েছেন। সরকার একে জাতীয় ট্র্যাজেডি বা শোক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় সারাদেশেই শোকের ছায়া নেমে আসে।

এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তৎকালীন সরকারের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের সহায়তায় গঠন করা হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

আইএইচএস/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।