অসুস্থতা নিয়ে মাইলস্টোনে গিয়ে চিরতরেই চলে গেছে ফাইয়াজ

অসুস্থতা থাকায় দুইদিন স্কুলে যেতে পারেনি মো. আফনান ফাইয়াজ। সোমবার (২১ জুলাই) অসুস্থ শরীর নিয়েই উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে চিরতরেই চলে গেছে সে।
মাইলস্টোন স্কুল ভবনে সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ফাইয়াজের।
এ ঘটনা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাইলস্টোন ট্রাজেডির শহীদ ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া ফাইয়াজ। আজ ফজরের নামাজের পর ফাইয়াজের জানাজা ছিলো মিরপুরের পল্লবীতে। জানাজা শেষে ওর পরিবারের সাথে কথা হলো। এই ঘটনাটা আরও বেশি ট্রমাটাইজিং করে দিয়েছে।’
রিফাত রশিদ লেখেন, ‘ফাইয়াজ অসুস্থ ছিলো, গত দু'দিন ক্লাসে যায়নি। মাইলস্টোনের নিয়ম হলো একটানা তিনদিন ক্লাস না করলে শাস্তি থাকে, তাই আজকে (সোমবার) অসুস্থ শরীরেই স্কুলে যায় ফাইয়াজ। তারপর..
জুলাই থেকে জুলাই, ফাইয়াজ থেকে ফাইয়াজ, এই শহরে জুলাই এলেই ফাইয়াজেরা শহীদ হয়। ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান ফাইয়াজদের জন্য একটা নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারলো না।’
উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। তাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু, যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৮ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা অব্যাহতভাবে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু রোগীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার শিকার লোকজনের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে। তাদের বেশিরভাগেরই শরীরের বড় একটি অংশ দগ্ধ হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের বাঁচিয়ে রাখার।
এমএমএআর/জেআইএম