প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী
‘পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, ছেলে না মেয়ে চেনা যায় না’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনার সময় ক্লাসে ছিলেন কলেজটির দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফায়েত কবির আবির।
ওই সময়ের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভবনের ভেতরে একজনের মাথা আলাদা, পা আলাদা, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একজনকে চেনা যাচ্ছে না ছেলে না মেয়ে- এমন অবস্থা হয়েছে।’
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন আমরা ক্লাসে ছিলাম। হঠাৎ একটা আওয়াজ হয়। ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হলে যেমন আওয়াজ তেমন। আমরা ভাবছি ওরকম কিছু। দৌড়ে জানালা দিয়ে দেখি ধোঁয়া উড়তেছে। এরপর আমরা সবাই দৌড় দিয়ে নিচে যাই, দেখি প্লেন ক্রাশ হয়েছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, আর্মি পৌঁছাতে পারেনি। তখন আমরা স্টুডেন্টরা ওপরে উঠি, গ্রিল কেটে শিক্ষার্থীদের বের করার ট্রাই করি। এরপরই ফায়ার সার্ভিস, আর্মি আসে।’
এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘নিচতলায় ভবনের সামনে বিমান আছড়ে পড়ার কারণে গেটে আগুন জ্বলছিল এজন্য দ্বিতীয় তলা থেকে শিক্ষার্থীরা নিচে নামতে পারছিল না। ওপর থেকে তো বের হওয়া পসিবল না। এজন্য আমরা দেওয়াল বেয়ে ওপরে উঠে গ্রিল কেটে তাদের বের করার ট্রাই করছি।’
আবির বলেন, ‘আমার কোলে শুয়ে একজন মারা গেছে। এরপর আমি অচেতন হয়ে যাই, পরে আমাকে হসপাতালে নিয়ে যায়।’
এনএস/এএসএ/এমএস