আফগানিস্তান ইস্যুতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বললেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: দ্যা গার্ডিয়ান

অডিও শুনুন

আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে মার্কিন সমর্থক সরকারের পতন হয়েছে। ফলে নিজ দেশেই তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ অবস্থায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন তিনি।

ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগান পরিস্থিতির জন্য সব দায় কাবুলের ওপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা ব্যক্ত করেন।

সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ভাষণে জো বাইডেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে দেশ গঠনের কোনো লক্ষ্যই ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। তবে জঙ্গি হামলা মোকাবিলার যে লক্ষ্য ছিল, তা সফল হয়েছে। দুর্বল করে দেয়া হয়েছে আল কায়দাকে। আফগানিস্তানে আমাদের অভিযানের একটাই লক্ষ্য ছিল, যেন যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গি হামলার জন্য দেশটির মাটি ব্যবহার না হয়।’

বাইডেনের বক্তব্য, আফগান বাহিনী নিজেদের জন্য লড়াই করছে না। সেখানে মার্কিন সেনারা কেন লড়াই করে জীবন দেবে? তবে প্রয়োজন হলে ‘সন্ত্রাসে’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘আমি আমার সিদ্ধান্তে পুরোপুরি অটল রয়েছি। সব সময় আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে মার্কিন জনগণের সঙ্গে থাকব।’

‘মার্কিনীরা এমন যুদ্ধে লড়াই করে মরতে পারে না, যেখানে আফগানরা নিজেরাই যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক নয়।’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে বাইডেন স্বীকার করেন যে, তালেবান তাদের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুততার সঙ্গে আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০ বছর পর এসে আমি শিখেছি যে, আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য কখনোই ভালো সময় ছিল না। আমি নতুন করে এ ভুল করতে পারি না। তাই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট যে আফগানিস্তানে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আমি আর এই যুদ্ধের দায় রাখতে চাই না।’

বাইডেন জানান, আফগানিস্তানে কূটনীতিক চাপ অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।

আফগান জনগণের পক্ষে সমর্থন রাখার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা রোধে আঞ্চলিক কূটনীতি তৎপরতার চাপ রাখতে হবে। এছাড়া কথা বলতে হবে আফগান জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্য।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, অবশ্যই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে মানবাধিকার। কিন্তু দীর্ঘদিন সামরিক শক্তি মোতায়েন মানবাধিকার রক্ষার কোনো মাধ্যম হতে পারে না।’

‘আমরা যে খারাপ অবস্থা এখন দেখছি তাতে নতুন করে আরও সৈন্য মোতায়েন করলেও আফগানিস্তানে কখনো শান্তি ফিরে আসবে না।’

আফগান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ গ্রহণে  ও তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, ‘গানি সাহেব (সদ্য সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট) জোর দিয়ে বলেছিলেন যে আফগান সেনারা তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কিন্তু তিনি ভুলের মধ্যে ছিলেন।’ খবর : বিবিসি, দ্যা গার্ডিয়ান, আল জাজিরা

জেডএইচ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।