আফগানিস্তান থেকে কূটনৈতিক মিশন সরিয়ে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২১
![আফগানিস্তান থেকে কূটনৈতিক মিশন সরিয়ে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/indonesia-20210821165414.jpg)
আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া তাদের কূটনৈতিক মিশন পাকিস্তানে সরিয়ে নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ইন্দোনেশিয়ার বিমান বাহিনী দেশটি থেকে নিজ দেশের বহু নাগরিককে সরিয়ে নেয়।
গত রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের পুরো নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যায়। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় হালিম সামরিক বিমানবন্দরে দেওয়া এক ভাষণে রেতনো মারসুদি বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য কাবুল থেকে কূটনৈতিক মিশন ইসলামাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
রেতনো মারসুদি বলেন, একটি ছোট দল নিয়ে কাবুলে কূটনৈতিক মিশন চালিয়ে যাওয়াটা ছিল আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা। কিন্তু নতুন উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এই পরিবর্তন কোন ধরনের সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য জানাননি। এমনকি এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্নও নেননি।
আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার পর অনেক দেশকেই ভিন্ন চিন্তা করতে দেখা গেছে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত কেমন হবে তা নিয়ে যেন জল্পনার শেষ হচ্ছে না। এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। সে সময় বেশ কঠোরভাবেই আফগানিস্তান শাসন করেছে তারা। তবে এবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান অনেকটাই নমনীয় আচরণ প্রকাশ করেছে।
এবার তালেবান ক্ষমতা দখলেও পরও পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন বলা যায়। তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও মেয়েদের স্কুলে যেতে দেখা গেছে, টিভি চ্যানেলে নারীদের সংবাদ উপস্থাপনা করতেও দেখা গেছে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবরও সেখানে পাওয়া যায়নি। এমনকি তালেবানের নেতাদের পক্ষ থেকে তাদের যোদ্ধাদের কোনো ধরনের সহিংসতা না করার এবং লোকজনের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ না করার আহ্বান জানানো হয়।
নারীসহ অন্যান্য লোকজনকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা এমনকি তালেবান সরকারে নারীদের অংশ গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছে তালেবান। তবে নারীদের অবশ্যই হিজাব পরেই সব কাজে অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়। তালেবানের পক্ষ থেকে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
টিটিএন/এমকেএইচ