![শুনসান কাবুল](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/kabul-20210831111020.jpg)
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর নীরবতা বিরাজ করছে কাবুলে। মঙ্গলবার পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে দিন শুরু করলেন কাবুলের বাসিন্দারা। রাজধানী কাবুল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানাচ্ছে, পরিস্থিতি বেশ শান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইটটি কাবুল ছাড়ার আগে পরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক জয়। তালেবান সব সময়ই তাদের মাটিতে বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছে। এবার তারা স্বাধীন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার পরই জয় উদযাপন করতে দেখা গেছে তালেবানকে। আকাশে গুলি ছুড়ে আফগান সদস্যরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এর আগে তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নিলেও যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু অবশেষে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণও এখন তালেবানের হাতে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে তালেবান সদস্যরা কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করছেন।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শেষ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে বলে পেন্টাগন এক ঘোষণায় নিশ্চিত করেছে। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধের ইতি ঘটল। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি এর আগে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, গত ১৪ আগস্ট অর্থাৎ তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ৬ হাজার মার্কিন নাগরিক রয়েছে।
মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার ঘটনাকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছে তালেবান। এক ঘোষণায় তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান এখন পুরোপুরি স্বাধীন। কাবুলে স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতের কিছু সময় আগে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইট সি-১৭। এ সময় কড়া নিরাপত্তা জারি ছিল।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণায় জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিক এবং সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেবে। সেই সময়সীমার মধ্যেই লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হলো।
টিটিএন/এমএস