ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি তালেবানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২১
ছবি : সংগৃহীত

অডিও শুনুন

আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে ভারত যদি আফগানিস্তানকে সাহায্য করার জন্য সেনা পাঠায় তাহলে ভালো হবে না বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা বলতে আপনারা কী বলতে চাইছেন? যদি ভারতীয় সেনারা আফগান সেনাদের সাহায্য করার জন্য আসে তাহলে সেটা তাদের জন্য ভালো হবে না। আফগানিস্তানে অন্য দেশের সেনাদের সঙ্গে কী হয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। তারা এলে আগে থেকে সব জেনেই আসবে।

তবে সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের মানুষের জন্য ভারতের অবদানের প্রশংসাও করেছেন শাহীন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের জন্য সেতু নির্মাণ, পরিকাঠামোর উন্নতিতে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। এতে এখানকার অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। এই ভূমিকার আমরা প্রশংসা করছি।

আফগানিস্তানের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্য থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে অনেক দেশ। তার মধ্যে ভারতও রয়েছে। যদিও কূটনৈতিক ব্যক্তিদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র। তিনি বলেন, দূতাবাস ও কূটনৈতিক ব্যক্তিদের কোনো ক্ষতি আমরা করব না। আমরা তাদের নিশানা করব না। আমরা সেটা জানিয়েও দিয়েছি। ভারত তাদের নাগরিকদের জন্য যে চিন্তা করছে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমরা তাদের কিছু করব না।

ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহরও এখন তালেবানের দখলে চলে গেছে। দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগ্রাসী ভূমিকায় সরকার বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে তালেবান। দেশটির অধিকাংশ এলাকাই এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। ফলে যেকোনো সময় কাবুলে হামলা চালিয়ে তালেবান দেশটির রাজধানী দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।

কাবুল থেকে এখন মাত্র ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে অবস্থান করছে তালেবান। ওই শহরে ভয়াবহ হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।