রুমিন ফারহানার প্রত্যাশিত আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা/ফাইল ছবি

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার প্রত্যাশিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ-বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি।

এদিন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন। তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন
১৫ বছর বিএনপির জন্য লড়াই করলাম, তারাই এখন ধাক্কা দেয়
রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে ইসিতে এনসিপির অভিযোগ

এর আগে গত ২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে রুমিন ফারহানার এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে শুনানি হয়। শুনানির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনা বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রুমিন ফারহানা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ বছর যে বিএনপির জন্য লড়াই করলাম, তারাই এখন আমাকে ধাক্কা দেয়। ঠিক আছে, ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই।

রুমিন ফারহানা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে যিনি আছেন তিনি পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষের স্বীকারোক্তি নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করেছি। জনসংখ্যার বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার বিষয়গুলো আমি নিজে প্রেজেন্ট করবো, তাই করেছি। আশা করেছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে যিনি আছেন তিনি গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে ইসিতে ঢুকবেন না। কিন্তু তারা গুন্ডা নিয়ে ইসিতে এসেছেন। এই আসনের প্রার্থী তার গুন্ডা-পান্ডা সদলবল নিয়ে ইসিতে এসে মারামারি করেছেন- এটা খুবই লজ্জাজনক। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলেছি ২০০৮ সালের আগের সীমানায় আমরা ফিরতে চাই। আমিও মনে করি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল সেখানেই আমাদের এখন ফিরে যাওয়া উচিত। মাঝখানে ১৫ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল যারা তাদের নিজস্ব ভোট কারচুপির জন্য নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা আমরা মানি না। সেজন্য আমরা বলেছি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল, খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ছিল সেখানে যাওয়া হোক।

এমওএস/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।