শত্রুরা ডেঙ্গুকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করছে কিনা এই আশঙ্কায় নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯
![শত্রুরা ডেঙ্গুকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করছে কিনা এই আশঙ্কায় নোটিশ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019April/leagal-dengue-20190718174120.jpg)
ডেঙ্গু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি জীবাণু অস্ত্র বা ভাইরাস। কিন্তু শত্রুভাবাপন্ন কোনো দেশ বা গোষ্ঠী ডেঙ্গু জ্বরকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ বা পরীক্ষা চালাচ্ছে কি-না এ আশঙ্কা থেকে জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটরসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু ঠেকাতে বা নির্মূল করতে জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকেও নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। আইনজীবী নিজে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। জনস্বার্থে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। এর পাশাপাশি সম্ভবত শত্রুভাবাপন্ন কোনো দেশ বা গোষ্ঠী এই ডেঙ্গু জ্বরকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ বা পরীক্ষা চালাচ্ছে। এ কাজে মশাকে রোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।’ এ আশঙ্কা থেকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত আইনজীবী এক বইয়ের বরাত দিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অপারেশনের (পিএক্স) নামে জাপান ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্রে রূপান্তর করে আমেরিকা আক্রমণ করে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ডেঙ্গু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সম্ভবত শত্রুভাবাপন্ন কোনো দেশ বা গোষ্ঠী এই ডেঙ্গু জ্বরকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ বা পরীক্ষা চালাচ্ছে। এ কাজে মশাকে রোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে বিবিসি বাংলায় করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছরের মতো এবারও এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে একটি গবেষণা চলছে। শিগগিরই গবেষণা প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেছেন, ডেঙ্গুতে একবার আক্রান্ত হলে ওই একই ব্যক্তি যদি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন- তখন তার ক্ষেত্রে রোগটি বেশি জটিল হতে পারে।
সাধারণভাবে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্তরা হয় উপসর্গবিহীন (৮০%) অথবা সাধারণ জ্বরের মতো সামান্য উপসর্গ থাকে। বাকিদের রোগ হয় আরো জটিল (৫%), এবং স্বল্প অনুপাতে এটি প্রাণঘাতী হয়। ইনকিউবিশন পিরিয়ড (উপসর্গসমূহের সূত্রপাত থেকে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের মধ্যবর্তী সময়) স্থায়ী হয় ৩-১৪ দিন, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা হয় ৪-৭ দিন।
এফএইচ/এসএইচএস/পিআর