দাফনের তৃতীয় দিনেও হাদির কবরে মানুষের ভিড়, চোখে অশ্রু
দাফনের তৃতীয় দিনেও থামেনি শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কবরস্থানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ, সহযোদ্ধা, ছাত্র-জনতা ও শুভানুধ্যায়ীরা। সহযোদ্ধাকে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তার সহকর্মী ও স্বজনরা। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকে চোখের পানি ফেলছেন, অনেকে মোনাজাত করছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় সরেজমিন দেখা যায়, কেউ মোনাজাত করে, কেউ নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন হাদিকে। অনেকে মোনাজাতে কাঁদতে কাঁদতে বিলাপ করছেন। অনেকেই বলছেন, হাদি একজন রাজনৈতিক কর্মীর বাইরেও বাংলাদেশপন্থি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তার মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

যশোর থেকে হাদির কবর জিয়ারত করতে এসেছেন আরিফুজ্জামান। সঙ্গে তার ছেলেও। তিনি বলেন, জীবদ্দশায় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানের কারণেই তিনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আজও কবরস্থানে মানুষের ঢলে স্পষ্ট।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে অন্য একজন জানান, আমরা আমাদের ছেলেকে হারিয়েছি, দেশ একজন সাহসী সন্তানকে হারাল। তিনি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার মোনাজাত করতে থাকেন, আর আশপাশের মানুষের চোখেও পানি দেখা যায়।

এদিকে দাফনের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীর সন্ধান পায়নি প্রশাসন। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিল ইনকিলাব মঞ্চসহ অন্য রাজনৈতিক নেতারা। অনেকেই কবর জিয়ারত শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাদির রক্তের বিচার না হলে এই শোক ক্ষোভে পরিণত হবে।
এফএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম